স্বদেশ ডেস্ক: ইরানের এলিট ফোর্স কুদস বাহিনীর শীর্ষ জেনারেল কাসেম সোলেইমানি হত্যার মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছিল তা আপাতত থিতিয়ে এসেছে। দুই দেশের কর্মকর্তাদের গলার সুর কিছুটা নিচে নেমে এসেছে। খোদ যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকেই ইরানের সঙ্গে সমঝোতার কথা বলা হয়েছে। অন্যদিকে ইরানি নেতৃবৃন্দ ইরাকে মার্কিন ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর আর উত্তেজনা না বাড়ানোর কৌশল নিয়েছে। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ বলেছেন, মার্কিন ঘাঁটিতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ছিল প্রতিশোধ। তাদের দেশ আর যুদ্ধ বাড়াতে চায় না।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ইউএস টুডে একটি বিশ্লেষণী প্রতিবেদনের শিরোনাম ছিল- যুদ্ধ থেকে পিছু হটলেন ট্রাম্প কিন্তু এটাই শেষ নয়। এতে বলা হয়েছে, ১৯৭৯ সালে তেহরানে মার্কিন দূতাবাসে হামলার পর গত বুধবার ছিল মার্কিন স্থাপনায় প্রথম হামলা। কিন্তু সে হামলার প্রতিক্রিয়ায় ট্রাম্প বেশ শান্ত ছিলেন। শুধু একটা টুইট করে বলেছেন ‘সব কিছু ভালো আছে। ক্ষয়ক্ষতির হিসাব করা হচ্ছে, সকালে বিস্তারিত জানাব’। তারপরের দিন স্থানীয় সময় সকালের দিকে ট্রাম্প বলেন, ইরানের বিরুদ্ধে অনর্থক সামরিক শক্তির প্রয়োজন নেই; বরং তিনি আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞার কথা বলেন। যদিও এ হামলা সম্পর্কে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেছিলেন, গত রাতে আমেরিকার গালে চড় বসিয়েছি। তেহরানের দাবি অনুযায়ী ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় আমেরিকার অন্তত ৮০ ‘সন্ত্রাসী’ নিহত হয়েছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র বলছে, যেখানে হামলা হয়েছে সেখানে মার্কিন সেনারা ছিল না। এর মধ্যেই গতকাল যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে জাতিসংঘের কাছে ইরানের সঙ্গে সমঝোতার প্রস্তাব দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের প্রভাব বিস্তারের অন্যতম স্থপতি কাসেম সোলেইমানিকে ইরাকে ড্রোন হামলায় হত্যা করে যুক্তরাষ্ট্র। পেন্টাগন জানায়, ট্রাম্পের নির্দেশেই এ হামলা করা হয়েছে। তিন দিন শোক কাটিয়ে ইরান গত বুধবার মার্কিন ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। এতে বিশ্লেষকরা মনে করছেন আপাতত উত্তেজনা বাড়ানোর পদক্ষেপ নেবে না। তবে টানাপড়েন থাকবে।